তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:  ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের মেহেরুন নেছা নামের এক ছাত্রী ফরম ফিলাপের টাকা দিয়েও এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারলো না। জানা যায়, খরসূতি চন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্রী মেহেরুন নেছা গত ২০২০ সালের ২০ মার্চ বদলি হয় সাতৈর উচ্চ বিদ্যালয়।
বদলির পর সাতৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ তার কাছ থেকে ভর্তির টাকা নিয়ে ভর্তি করেন। ভর্তির পরে স্কুল খোলার পর সে নিয়মিত ক্লাস করেন। ২০২১ সালের এসএসসি ফরম ফিলাপের জন্য ওই ছাত্রীর নিকট থেকে ফরম ফিলাপের জন্য ১৯৫০ টাকাও নেওয়া হয়। পরীক্ষা শুরুর আগেরদিন প্রবেশপত্র আনতে গেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, তার ফরম ফিলাপ হয়নি। এ বছর ওই ছাত্রী পরীক্ষা দিতে পারবে না।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর অভিভাবক মোবাইল ফোনে জানান, খরসূতি চন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বদলি হয়ে সাতৈর উচ্চ বিদ্যালয়ে আসার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ টাকা নিয়ে ভর্তি করেন। ফরম ফিলাপের টাকা ১৯৫০ টাকা নিয়ে আমাদের রশিদ দেন। পরীক্ষার আগের দিন স্কুলে গিয়ে প্রবেশপত্র চাইলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় মেহেরুন নেছার ফরম ফিলাপ হয়নি। কারন সে খরসূতি চন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বদলি হয়েছে। সে বদলি কার্যকর হয়নি। যার কারনে তার ফরম ফিলাপ হয়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইয়াকুব আলী চৌধুরী বলেন, মেহেরুন নেছা নামের যে ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষা থেকে বাদ পড়েছে তার ফরম ফিলাপ হয়নি। কারন আমাদের স্কুলে বদলি হয়ে এসেছিল সে বদলি কার্যকর না হওয়ার কারনে তার ফরম ফিলাপ হয়নি। তার কাছ থেকে ফরম ফিলাপের ১৯৫০ টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।
সাতৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সৈয়দ সাহিদুর রহমান সজল বলেন, যে ছাত্রীটি এ বছর এসএসসি পরীক্ষা থেকে বাদ পড়েছে ওই ছাত্রী সাতৈর স্কুলে বদলি হয়ে এসেছিল। তার বদলি কার্যকর হয়নি তাই তার ফরম ফিলাপ করতে পারেনি। তবে শিক্ষকদের অবহেলার কারনে এটা হয়েছে। আমি সভাপতি হিসেবে অবহেলার কারনে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, শিক্ষকদের অবহেলায় ওই ছাত্রীর ফরম ফিলাপ হয়নি। যার কারনে এ বছর সে পরীক্ষা দিতে পারলো না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।